ফেন্সি রুটি আর হালুয়া বিক্রির ধুম লেগেছে পুরান ঢাকার লালবাগে

প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০১৯

আজ পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে পুরান ঢাকার ছোট-বড় বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি দোকানে ঐতিহ্যবাহী ফেন্সি রুটি ও বুটগাজরের হালুয়া বিক্রির ধুম লেগেছে। পুরান ঢাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের মাছ ও ফুলাকৃতির রুটি ও হালুয়া মিষ্টি কিনে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন বেকারিতে ভিড় করছেন। কেউ কেউ পছন্দসই রুটি খুঁজে না পেয়ে এক বেকারি থেকে অন্য বেকারিতে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

সরেজমিনে লালবাগের বিভিন্ন কনফেকশনারির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোর সামনে অতিরিক্ত টেবিল বসিয়ে সেখানে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির রুটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। স্পেপাল রুটিগুলো বিশেষ রঙিন বাক্সে পৃথকভাবে রাখা হয়েছে।

লালবাগের হৃদয় কনফেকশনারির একাধিক কর্মচারী জানান, প্রতি বছরই শবে বরাত উপলক্ষে তারা বিভিন্ন আকৃতির ফেন্সি রুটি ও গাজর হালুয়াসহ বিভিন্ন খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন।

হালুয়া ও রুটির দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতি কেজি রুটি নরমাল ১৮০ টাকা ও স্পেশাল ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গাজরের হালুয়া প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও বুটের হালুয়া ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

লালবাগ শহীদ নগরের বাসিন্দা আতাহার আলী নামের একজন বৃদ্ধ এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ফেন্সি রুটি আর হালুয়া পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। বাসাবাড়িতে হালুয়া রুটি তৈরি হলেও ফেন্সি রুটি আর হালুয়া কেনা এক ধরনের রীতিতে পরিণত হয়েছে।

মরিয়ম বেগম নামের মধ্যবয়সী একজন নারী মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ফেন্সি রুটি, হালুয়া আর মিষ্টি পাঠাবেন বলে বিভিন্ন বেকারিতে ঘুরছিলেন। লালবাগের নিউ বিউটি ও হৃদয় কনফেকশনারি ঘুরে রুটি দেখে পছন্দ না হওয়ায় মোবাইল ফোনে কাউকে বলছিলেন, ‘পছন্দসই ভালো ডিজাইনের রুটি দেখছি না, দেখি চকবাজার ঘুরে পছন্দসই রুটি-হালুয়া পাই কিনা।’

নিউ বিউটি হোটেলের কর্মচারী আনিসুর রহমান জানান, শবে বরাতের দিন তারা প্রায় ২০০ কেজি ফেন্সি রুটি বিক্রি করেন।