কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নের সুনছড়া চা বাগানে সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় আকস্মিকভাবে চৈতু কর্মকার (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সুনছড়া চা বাগানে করোনা সংক্রমণ আতঙ্ক বিরাজ করলে মঙ্গলবার সকালে মৃত বৃদ্ধসহ এ পরিবারে অন্য আরও এক সদস্য এবং মঙ্গলবার দুপুরে আদমপুরের নয়াপত্তান গ্রামে বারবার বমি করে মারা যাওয়া নন্দলাল সিংহ (২৫) এর নমুনা সংগ্রহ করেছে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সুনছড়া চা বাগান সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ চৈতু কর্মকার সোমবার সন্ধ্যার আগে চা বাগান প্লান্টেশন এলাকায় গরু খোঁজতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরেন। বাড়িতে ফিরে তিনি ভেজা জামা কাপড় খুলে আকস্মিকভাবে মাটিতে পড়ে যান। তাকে ধরাধরি করে ঘরের ভিতরে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনাটি চা বাগানে জানাজানি হলে সাধারণ চা শ্রমিকদের মাঝে করোনা সংক্রমণ আতঙ্ক বিরাজ করলে রাতেই কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। ফলে রাতে আর বৃদ্ধের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়নি।এদিকে আদমপুরের নয়াপত্তান গ্রামে কয়েক দফা বমি করে মারা যাওয়া নন্দলাল সিংহ এর নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে একটি দল পৃথক পৃথক স্থান থেকে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।সুনছড়া চা বাগানের বাসিন্দা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী সোমবার রাতে সুনছড়া চা বাগানে বৃদ্ধের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৃদ্ধ বৃষ্টিতে ভিজে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরার পর হঠাৎ করে মাটিতে পড়ে যান। পরে রাতে মারা যান। তবে বৃদ্ধের এক নাতি ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া সুনছড়া চা বাগানে বৃদ্ধ ও আদমপুরে এক ব্যক্তিসহ দুই জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যেহেতু করোনা সংক্রমণকাল তাই এলাকার সাধারণ মানুষজনের আতঙ্কের কারণে মৃত দুইজনসহ পরিবারের আরও এক সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে