কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে শিক্ষা বৃত্তি ও দুই ক্যান্সার রোগীকে ৫০ হাজার করে সহায়তা প্রদান
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা” (পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বসবাসরত ১৪৪ জন শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। মণিপুরি, চা জনগোষ্ঠী, ত্রিপুরী ও খাসিয়া, গারোসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মোট ১৪৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বুধবার সকাল ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে এই চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তানিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে একই সাথে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কমলগঞ্জের দুইজন ক্যান্সার রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা ও উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ১০ জন উপকারভোগীর মাঝে বয়স্ক ভাতার বই বিতরণ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগম, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলুবুল, বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ারম্যান জিডিশন প্রধান সুচিয়াং।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে কমলগঞ্জে বসবাসরত মণিপুরি, ত্রিপুরী, খাসিয়া, গারো ও চা বাগানের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মোট ১৪৪ জন ছাত্র-ছাত্রীকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৬ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দুইজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। একই সাথে কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ১০ জন বয়স্কের মাঝে ভাতার বই বিতরণ করা হয়েছে।