কমলগঞ্জে পাহাড়-টিলা দখলের মহোৎসব! সেগুন ও আগর বাগান ধবংস করে চলছে ফসলের চাষঃ প্রতিকারে কর্তৃপক্ষ নীরব

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ছবি ধলাইর ডাক

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউড়াছড়া রেঞ্জের কালাছড়া বনে চলছে পাহাড়ি টিলা দখলের মহোৎসব। বনের সরইবাড়ি এলাকায় বন বিভাগের সৃজনকৃত মুল্যবান সেগুন ও আগর বাগান ধ্বংস করে বন বিভাগের এক হেডম্যান (ভিলেজার) করেছেন আনারস ও লেবু বাগান সাথে রয়েছে মাছের ফিসারীও।

ফরেস্ট ভিলেজারদের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েক জন প্রভাবশালী মেতে উঠেছেন বনের টিলা দখল করে মুল্যবান গাছগাছালি কেটে লেবু-আনারস বাগান তৈরী করার কাজে। সংরক্ষিত বনের পাহাড়ি টিলা ও সামাজিক বনায়ন ধ্বংস করে আনারস ও লেবু বাগান গড়ে তুলা হলেও রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে গিয়েদেখা যায়, কালাছড়া বনের সরইবাড়ি এলাকার ২০০২ সালের সেগুন ও আগর বাগানটি একাই দখল করে নিয়েছেন হেডম্যান (ভিলেজার) মাখন উড়াং। তিনি পাহাড়ি টিলার ওই সেগুন বাগান ধ্বংস করে সেই টিলায় সম্প্রতি নতুন করে আনারস বাগান করেছেন। এ টিলার আশপাশের কয়েকটি পাহাড়ি টিলা তার ভাই ও বোনের জামাইসহ নিকট আত্মীয়েরা দখল নিয়ে করেছেন আনারস ও লেবু বাগান। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী ফরেস্ট ভিলেজার ইউপি সদস্য আবুল কালাম ওরপে কালাম মেম্বার, নিমাই উড়াং সান্তু উড়াং, সুমন উড়াং গংদের দখলে রয়েছে সংরক্ষিত বনের একাধিক টিলা।

অভিযোগ রয়েছে বন ভিলেজারদের পাশাপাশি স্থানীয় জব্বার, মাম্মদ, বশর গংরাও মিলেমিশে বেশ কয়েকটি পাহাড়ি টিলা দখল করে আনারস, লেবু ও কলা বাগান করেছেন মাছের ফিসারিও। এ বিষয়ে কথা বলতে হেডম্যান মাখন উড়াং এর সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আলাপকালে ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, অতীতে বনে টিলা দখল করা হলেও বর্তমানে নতুন করে বনে কোন টিলা দখল বা বাগান করা হয়নি। সামাজিক বনায়ন বিনষ্ট করে আপনি আনারস-লেবু বাগান করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কালাম মেম্বার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ প্রসঙ্গে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংরক্ষিত বনে নতুন করে দখলের কোনো সুযোগ নেই। কেউ নতুন করে দখল বা বাগান করে থাকলে সে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে উচ্ছেদ করে বন দখলমুক্ত করা হবে।