কাঁদছে কৃষক, ডুবেছে পাকা ধান

প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ছোট-বড় ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদীর পানি বেড়ে চরাঞ্চলের পাকা ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে অন্যান্য ফসলি জমি।

পাকা ধানক্ষেত ডুবে যাওয়ায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ধান। পাকা ধান ঘরে তুলতে না পেরে কাঁদছেন কৃষক। সেই সঙ্গে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কায় চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন তারা।

শনিবার (৩০ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, চিলমারী উপজেলায় কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তা নদীর বৃদ্ধি পেয়েছ। এতে আশপাশের নিম্নাঞ্চলের কয়েক বিঘা পাকা ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধান ঘরে তোলার আগেই ধানক্ষেত ডুবে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। একদিকে করোনার প্রভাব সামলে উঠতে পারছেন না অন্যদিকে ডুবে যাওয়া ফসল শ্রমিকের অভাবে ঘরে তুলতে পারছেন না তারা।

কৃষক মতিয়ার, আনছার ও ফুলমিয়াসহ কয়েকজন বলেন, করোনায় কষ্ট হলেও আশা ছিল জমির ধান কেটে ঘরে তুলব। দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে পারব। কিন্তু হঠাৎ আমাদের সব আশা ডুবিয়ে দিল পানি।

তারা আরও বলেন, ঘরে ফসল তোলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল আমাদের। পরিবার নিয়ে সামনের দিনগুলো কিভাবে কাটাব; তা ভেবে পাই না। দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি আমরা।

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, হঠাৎ পানির ঢলে পাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে কৃষকরা বড় সমস্যায় পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রণয় কুমার বিষাণ দাস বলেন, চিলমারীতে ছয় হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় শতাধিক বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। এক হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হলেও পানির নিচে দুই হেক্টর। তবে এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি পড়বে না।