প্রকাশ্যে লাউয়াছড়ায় সেগুনগাছ কর্তন! বন কর্মীদের সাথে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
স্টাফ রিপোর্টার: সংঘবদ্ধ গাছচোর চক্র প্রকাশ্য দিবালোকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের প্রদান ফটকের ৩০০ গজের মধ্যে একটি বিশালকার সেগুন গাছ কেটে ফেলে। গাছ পড়ার আওয়াজ শুনে সিপিজি সদস্য, বনকর্মী ও ট্যুরিষ্ট পুলিশ সদস্যদের ধাওয়ায় খেয়ে গাছ কাটার যন্ত্রাংশ সহ কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে।
বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনবিট কর্মকর্তা, সিপিজি সদস্য ও ট্যুরিষ্ট গাইড সূত্রে জানা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক আসেন লাউয়াছড়া উদ্যানে। লাউয়াছড়া উদ্যানের প্রবেশ টিকেট দিয়ে পর্যটকদের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থায় সবাই ব্যস্ত ছিলেন। এ সুযোগে বিকালে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল গাছ কাটার করাত নিয়ে এসে প্রবেশ পথের প্রদান ফটকের ৩০০ গজ পূর্ব দিক থেকে প্রায় শতাদিক ফুট উচ্চতার একটি বড় সেগুন গাছ কাটে। কাটা সেগুন গাছটি মাটিতে পড়লে বিকট আওয়াজ হয়। আওয়াজ শুনে প্রধান ফটকে থাকা কয়েকজন সিপিজি (কমিউনিটি পেট্রোরিং গ্রুপ) সদস্য, ট্যুরিষ্ট গাইড ও বনকর্মী ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় সংঘবদ্ধ গাছ চোরচক্র উল্টো ধাওয়া করে। পরে অতিরিক্ত লোকজন নিয়ে বন বিভাগ ধাওয়া করেন। ফলে গাছ কাটার করাত, গায়ের কিছু কাপড়চোপড় ও কাটা গাছ ফেলে গাছচোরচক্র পালিয়ে যায়।
ইকো ট্যুরিষ্ট গাইড শাহীন মিয়া বলেন, একটি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী গাছ চোরচক্র ছিল বলে প্রকাশে দিবালোকে এত মানুষজনের উপস্থিতি থাকার পরও বড় সেগুন গাছ কেটে ফেলে। প্রথমে কয়েকজন মিলে দৌড়ে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে গাছচোর চক্র ধাওয়া করেছিল। পরে সিজিপি সদস্য, ট্যুরিষ্ট গাইড ও বনকর্মী মিলে অতিরিক্ত লোকজন নিয়ে ধাওয়া করলে গাছ চোরচক্র পালিয়ে যায়।
বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ভাবতে অবাক লাগে যে, গাছচোর চক্র প্রকাশে দিবালোকে এত সাহসহ করে কিভাবে বড় সেগুন গাছটি কেটে ফেলল। ধাওয়া খেয়ে গাছচোর চক্র পালিয়ে গেলেও ফেলে যায় কেটে ফেলা সেগুন গাছটি। তার সাথে ঘটনাস্থল থেকে গাছ চোরদের ব্যবহৃত করাত ও পরিদেয় কিছু কাপড়-চোপড় জব্দ করা হয়েছে।