ফলোআপ: কমলগঞ্জে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা সমঝোতা বৈঠকে পঞ্চায়েত সভাপতির অনুপস্থিতির কারণে ক্ষমতা খর্ব বাগানে থমথমে অবস্থা বিরাজ

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৯

কমলগঞ্জ সংবাদ দাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের সংঘর্ষের ঘটনার কারনে আয়েজিত সমঝোতা বৈঠকে চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি অনুপস্থিতির কারনে তার ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সভাপতির ক্ষমতা খর্ব করার কারনে বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে ২টি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এখন এদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। পাত্রখোলা চা বাগানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জানা যায, পাত্রখোলা চা বাগানে পঞ্চায়েত সভাপতির বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে গত ২০ মে সোমবার পঞ্চায়েত সভাপতির লোকজন ও চা শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হলে এদিন কাজে বিরতি পালন করেছিল সাধারণ শ্রমিকরা। পরে এ ঘটনার ৮ দিন পর কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এ বৈঠকে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ডিজিএম সিরাজুল ইসলাম, পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম মুন্না, চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরীসহ নেতৃবৃন্দ ও আন্দোলনকারী চা শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে পাত্রখোলা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি শিপন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন না। ফলে এ সভায় ব্যাপক আলোচনাক্রমে পঞ্চায়েত সভাপতি শিপন চক্রবর্তীর ক্ষমতা কিছুটা খর্ব করা হয়। পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম মুন্না বলেন, একজন ব্যবস্থাপককে প্রহার করায় শ্রম আইন অনুযায়ী সুজন অলমিককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে আবার চা শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তাকে কাজে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন চা বাগান ব্যবস্থাপকরা চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করেন। পাত্রখোলায় যে কোন সময় সাধারণ চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধান করা হয়। পঞ্চায়েত সভাপতির সাথে কোন সম্পর্ক নেই । তাই সমঝোতা বৈঠকে পঞ্চায়েত সভাপতির অনুপস্থিতি তার প্রমাণ করে। সমঝোতা বৈঠকের সভাপতি কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান বলেন, আসলে পাত্রখোলা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শিপন চক্রবর্তীর চাতুরীপনার কারণে মাঝে মাঝে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। তাই সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে এ বাগানে কোন সমস্যা হলে ভ্যালী সভাপতি ও সাধারণ শ্রমিকদের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আলোচনাক্রমে সমস্যার সমাধান করা হবে। তাছাড়া পঞ্চায়েত সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলেও উপজেলা চেয়ারম্যান জানান।