ধলাই ডেস্ক: করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে সব কিছু বন্ধ থাকার কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩৬ করার দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ব্যানারে চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩৫ করার পক্ষের আন্দোলনকারীরা নতুন করে বয়সসীমা ৩৬ করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনের সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির অন্যতম যুক্তি হচ্ছে সেশনজট। ২০০৩-২০১৪ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল, পাবলিক এমনকি প্রাইভেটসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২/৩/৪/৫ বছর সেশনজট ছিল। যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অকপটে স্বীকার করবে।
সেখানে বলা হয়, বিশ্ব করোনার ছোবল এখন বাংলাদেশে প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সম্ভাব্য আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে কমপক্ষে আরও এক বছরে সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন দেশের সকল শিক্ষার্থী। যেমন শিক্ষা জীবন থেকে সেশনজটে ৩-৪ বছর হারিয়েছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাই আমাদের পূর্ব যৌক্তিক আন্দোলন ৩৫-এর সঙ্গে করোনার এক বছর লস টাইম যুক্ত করে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৬ করতে হবে।
বাকি তিন দফা হচ্ছে- পরীক্ষাগুলোর আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ, নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেয়া এবং তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
উল্লেখ্য, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে গত বছরের ডিসেম্বরে আন্দোলনে নামে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। এই দাবিতে তারা টানা প্রেসক্লাবের সামনে অনশনও করেছেন। শেষ পর্যন্ত সরকার এটিকে তোয়াক্কা না করলে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেন। অনশনে তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন।