ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই কয়েদিসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর নিহত ব্যক্তি এক কোটি ৫৭ লাখ টাকার চেক ডিজওনার মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন।
এ তিনজনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ও আজ শুক্রবার দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আবু সায়েম।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বুকের ব্যাথা অনুভব করায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার লোহারগাঁও গ্রামের আফিজ আলী ইউনুছকে (৪৯)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি নিজ চাচা রুস্তুম আলীকে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এদিকে, দক্ষিণ সুরমার একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন ৬৩ বছরের মছব্বির আলী। বুকে ব্যথা অনুভব করায় গত মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মছব্বির আলীকে। বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৫০ মিনিটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মছব্বির আলী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শস্যউরা গ্রামের জুবেদ আলীর ছেলে।
এছাড়া চেক ডিজওনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার ৪৮ নম্বর বাসার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ মনোয়ারুল হক। বৃহস্পতিবার রাতে বুকে ব্যথা অনুভব হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কারাগার কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি হাসপাতালে মারা যান। তিনি ওই এলাকার মন্তাজ আলীর ছেলে। এক কোটি ৫৭ লাখ টাকার চেক ডিজওনার মামলায় তার এক বছরের সাজা ছিল বলে কারাগার সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আবু সায়েম জানান, তারা তিনজনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শুক্রবার প্রত্যেকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।