ধলাই ডেস্ক: চীনের উপহার দেওয়া সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বিমানের ফ্লাইটটি অবতরণ করে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার।
তিনি জানান, বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইট বিজি-৫০৬৫ চীনের তিয়ানজিন বিনহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোভিড-১৯ এর টিকা ও সিরিঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। মোট ৫৭টি বাক্সে সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা ও ৩১৩টি কার্টনে ৪ দশমিক ১ টন সিরিঞ্জ পরিবহন করা হয়েছে। সাশ্রয়ী খরচে এসব টিকা ও সিরিঞ্জ দেশে পরিবহন করেছে বিমান।
তিনি আরো জানান, অবতরণের পর বিমানের পক্ষ থেকে সবপ্রকার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সুবিধা দেওয়া হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে পরিবহন করেছে।
এছাড়াও আগামী ১৪ আগস্ট সকাল ১০ টায় বিমানের বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইট বিজি-৫০৬৬ কোভিড-১৯ টিকা পরিবহন করতে ঢাকা থেকে চীনের তিয়ানজিন বিনহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। চীন থেকে কোভিড টিকা নিয়ে ফিরতি ফ্লাইটটি (বিজি-৫০৬৭) বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
তাহেরা খন্দকার জানান, আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনা মহামারিকালে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান। এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সাশ্রয়ী খরচে সিনোফার্মের মোট ৭০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা ৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে চীন থেকে ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে পাঠানো ২৫০টি ভেন্টিলেটর বিনামূল্যে দিল্লি থেকে দেশে পরিবহন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে প্রথমবার সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে পাঠায় চীন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জুন আরও ছয় লাখ উপহারের টিকা আসে। সব মিলিয়ে ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন।
সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…