ধলাই ডেস্ক: বরগুনার আমতলীতে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্বামীর গোপনাঙ্গ টেনে ছিঁড়ে রক্তাক্ত জখম করে পালানোর অভিযোগ উঠেছে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আহত স্বামীকে উদ্ধার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন আহতের স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, ২০০৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। কয়েক বছর পূর্বে স্ত্রী একই এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদ করেন স্বামী। কিন্তু তাতে স্ত্রী নিভৃত হননি। প্রেমিকের নির্দেশে স্বামীকে প্রায়ই নির্যাতন করে আসছিলেন এমন অভিযোগ স্বামীর। বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বামী এতে বাধা দেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ওইদিন গভীর রাতে ঘুমন্ত স্বামীকে যাতা দিয়ে মাথায় আঘাত এবং গোপনাঙ্গ টেনে ছিঁড়ে রক্তাক্ত জখম করেন। তার ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে স্ত্রী পালিয়ে যান।
আহত স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এতে বাধা দিলে আমাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেন। সবশেষ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ব্যক্তির নির্দেশে আমাকে হত্যার চেষ্টায় যাতা দিয়ে মুখমন্ডলে আঘাত এবং গোপনাঙ্গ টেনে ছিড়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন আমার স্ত্রী। আমি ও স্বজনরা এ ঘটনার বিচার প্রার্থনা করছি।
অভিযুক্ত নারী পলাতক ও তার মুঠোফোনের নম্বর বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার কথিত প্রেমিক পরকীয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি। আমার সঙ্গে ওই নারীর মোবাইলে কথা হতো। তবে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জায়েদ আলম ইরাম বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার গোপনাঙ্গের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।