ধলাই ডেস্ক: আদালত থেকে এফিডেফিট করে ১১ বছরের শিশুকে করা হয় প্রাপ্ত বয়স্ক। এরপর প্রশাসনের চোখ এড়াতে মাইক্রোবাসের ভেতরে পড়ানো হচ্ছিল বিয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে ধরে ফেলে পুলিশ। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বর, কনের বাবা ও কাজীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে এ বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে একটি মাইক্রোবাসের ভেতর বাল্য বিয়ে আয়োজন করে।
খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. হারেজ শিকদার সেখানে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বর, কনের বাবা ও কাজীকে আটক করে।পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হয়।
সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বর রনি আহমেদকে ১ মাস, কনের বাবা দেলোয়ার হোসেনকে ৬ মাস ও সদর উপজেলা কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কাজী শফিকুল ইসলামের সহকারী মামুনুর রশিদকে ৬ মাসে কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপ্রাপ্ত ওই কনেকে তার খালার জিম্মায় দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

