বিনোদন ডেস্ক: নীরবে নিভৃতে জীবন কাটানো এক রঙিন মানুষ সুজাতা। ১৯৬৫ সালের ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি। ষাট দশক থেকেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে আসছেন ঢাকাই সিনেমায়। তবে অনেকদিন ধরেই অভিনয় থেকে বাইরে তিনি। চলচ্চিত্র বিষয়ক কিছু অনুষ্ঠানে হঠাৎ দেখা মেলে তার।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই গুণি অভিনেত্রীকে এই বছর আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন সরকার। অনেক দিন থেকেই অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। পরিবারের সঙ্গে নিরবে দিন কাটিয়ে চলেছেন তিনি। অবসরে লিখে চলেছেন একের পর এক বই। গত বছর একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছিলো তার লেখা বই ‘শিমুলির ৭১’।
অক্ষর প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হচ্ছে আত্মজীবনীটি। একই প্রকাশনী থেকে আসবে তার লেখা চলচ্চিত্র বিষয়ক আরও একটি বই।
সুজাতা জানান, ২০২০ সালের বই মেলায় আরও প্রকাশিত হচ্ছে তার লেখা নতুন একটি উপন্যাস। ‘অনাকাঙ্খি উত্তরাধিকারী’ নামের উপন্যাসটি আসছে পুথি নিলয় প্রকাশনী থেকে।
সুজাতা বলেন, ‘নানা অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে কেটে যায় মানুষের জীবন। নবীনরা বড়দের কাছে সেই সব অভিজ্ঞতার কথা জানতে চায়। আমি আমার বইয়ে আমার দেখা জীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করি। অনেক সময় নিয়ে বইগুলো লিখেছি। আমার বিশ্বাস বইগুলো অনেকেরই কাজে আসবে।’
সুজাতা আরও বলেন, ‘নিজের আত্মজীবনী লিখে ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছি। অনেক কথা বলার ছিলো। না বলা কথাগুলো অনেক যত্ন নিয়ে নিজের আত্মজীবনীতে লিখছি। নতুন প্রজন্ম তো ওইভাবে জানে না আমাদের সময়ের শিল্পীদের সম্পর্কে। এই বই থেকে তারা জানতে পারবে আমাদের সিনেমার বিপ্লবের দিনগুলোকে। প্রযুক্তির এতো চাকচিক্য না থাকা স্বত্বেও কীভাবে এতো ভালো ভালো ছবি নির্মাণ হয়েছে সেই সময়। এসব তো থাকছেন। আর পাতায় পাতায় থাকছে নিজের বেড়ে ওঠার কাহিনী।’
নায়িকা হিসেবে সুজাতার উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘রূপবান’, ‘ডাকবাবু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘অপরাজেয়’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘আলিবাবা’, ‘বেঈমান’, ‘ অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘প্রতিনিধি’ প্রভৃতি। ১৯৭৭ সালে তিনি সর্বশেষ নায়িকা হিসেবে রহিম নেওয়াজ পরিচালিত ‘রাতের কলি’ ছবিতে অভিনয় করেন।