আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ধনী নারী ইসাবেল ডোস সান্তোসের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে তার নিজ দেশ অ্যাঙ্গোলার সরকার। দুর্নীতি ও দেশের স্বার্থবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে এডুয়ার্ডো ডোস স্যান্তোসের কন্যা হওয়ায় দেশটির ভূমি, তেল, হীরা ও টেলিফোনখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক চুক্তি করার সুযোগ পেয়েছলেন তিনি।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বেশকিছু গোপন নথিপত্র থেকে জানাযায়, ইসাবেল ও তার স্বামীকে একাধিক বিতর্কিত ও সন্দেহজনক চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মূল্যবান সম্পদ ক্রয়ের সুযোগ করে দেয়া হয়েছিলো।
তবে তাদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন ইসাবেল। বরং পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক হেনস্থা ও প্রতিপক্ষকে দমনের উদ্দেশ্যে অ্যাঙ্গোলা সরকার এসব করছে।
ইসাবেল বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন। মধ্য লন্ডনে নিজের ব্যায়বহুল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি।
নিজ দেশে এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অ্যাঙ্গোলায় থাকা তার যাবতীয় সম্পত্তিও।
ইসাবেলের বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তি নিয়ে ফাঁস হওয়া সাত লাখেরও বেশি গোপন নথিতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এছাড়া দ্য গার্ডিয়ান ও এক্সপ্রেসো নিউজপেপারসহ ৩৭টি সংবাদমাধ্যম এই তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
এ সম্পর্কে অ্যাঙ্গোলার দুর্নীতি বিরোধী কমিশনের প্রধান অ্যান্ড্রু ফেইনস্টেইন বলেন, ফাঁস হওয়া এই নথিগুলো থেকে জানাযায় ইসাবেল কিভাবে নিজের দেশের সম্পত্তি শোষন করে ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।
প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য থাকা স্বত্ত্বেও আফ্রিকার অন্যতম দরিদ্র দেশ অ্যাঙ্গোলা। দেশটির প্রায় ৩০ শতাংশ লোক দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে, যাদের আয় দৈনিক দুই ডলারের চেয়েও কম।
এদিকে ইসাবেলের বিশাল সম্পত্তি নিয়ে গত বছর লুয়ান্ডা লিকস নামে হাজার হাজার গোপন নথিপত্র ফাঁস হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় দেশটিতে।
সূত্র: বিবিসি