ইরানের ভয়ে আমিরাত সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর বাতিল করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়ায় এই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে রোববার দেশটির কূটনীতিকরা জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ দেশটির গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি মাসের মাঝের দিকে আরব আমিরাতের দুবাই এক্সপো-২০২০ এ অংশ নেয়ার কথা ছিল তার। বার্তাসংস্থা রয়টার্স ইসরায়েলের এক কূটনীতিকের বরাত দিয়ে বলছে, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দুবাই সফর বাতিল করেছেন দেশটির এই মন্ত্রী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির অপর এক কূটনীতিক বলেছেন, প্রতিশোধের অংশ হিসেবে মার্কিন মিত্র কাৎজকে টার্গেট করতে পারে ইসরায়েলের চিরশত্রু ইরান। এ কারণে সতর্কতা অবলম্বন করছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি এই মন্ত্রীর সফরে সুনির্দিষ্ট ইরানি হুমকি রয়েছে কি-না সেব্যাপারে ওই কূটনীতিক কোনও নথি-প্রমাণের বরাত দেননি।

ওয়াশিংটন এবং তেহরানের কয়েক দশকের পুরনো দ্বন্দ্ব সম্প্রতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুই দেশের এই উত্তেজনায় পারদ ঢেলেছে ইরানের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডারকে মার্কিন সামরিক বাহিনী হত্যা করার পর। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশি সশস্ত্র শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়।

রয়টার্স বলছে, ১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের পর ওই অঞ্চলে তেহরানের শক্তিশালী আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির হয় ইসরায়েল। গত কয়েক বছর ধরে উপসাগরীয় অঞ্চলের সুন্নিপন্থী বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইসরায়েল; যা ইরানের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনও সম্পর্ক না থাকলেও এক্সপো-২০২০ দুবাইয়ে অংশ নেয় ইসরায়েল। গত বছরের অক্টোবরে এই এক্সপোতে অংশ নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তকে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের অংশ বলে দাবি করেন।