আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি, সরকারের গাফিলতির কারণে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। বৈরুতের শহীদ চত্বর এলাকায় গুলির ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া, কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের কার্যালয়ে প্রবেশ করে সেটি দখলে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার লেবাননে বিক্ষোভে অংশ নেন অন্তত পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ। এদিন বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৈরুত বন্দরের শহীদ চত্বর থেকে বিশাল মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভের মধ্যে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে একটি দল লেবানিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মন্ত্রণালয় দখলের ঘোষণা দেয়।
রেডক্রসের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। টেলিভিশনের এক ভাষণে তিনি বলেন, আগাম সংসদীয় নির্বাচন ছাড়া আমরা দেশের কাঠামোগত সংকট থেকে বের হতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে আগামী সোমবার মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে।
সূত্র: বিবিসি