ধলাই ডেস্ক: কুমিল্লার লাকসামে একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দেন শারমিন আক্তার। কিন্তু এরইমধ্যে তিন সন্তান মারা গেছে। রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে জন্মের দিনই মারা গেছে দুইজন।
বুধবার দুপুরে লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার ছাড়াই ওই পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন শারমিন। এরমধ্যে তিনজন ছেলে ও দুইজন মেয়ে।
শারমিনের স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, ওজন কম হওয়ায় জন্মের পর সন্তানদের নিয়ে কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেই। পথে অক্সিজেনের অভাবে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। বাকিদের কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দুপুরে তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে শয্যা না পেয়ে ধানমন্ডির উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে ইনকিউবেটরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক ছেলে মারা যায়। বর্তমানে ওই হাসপাতালের ইনকিউবেটরে এক ছেলে ও এক মেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বেঁচে থাকা দুই সন্তানের চিকিৎসা বাবদ প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। এত খরচ চালানোর সামর্থ্য আমার নেই। তাই দুই সন্তানকে বাঁচাতে সহযোগিতা চেয়েছেন মিজানুর রহমান।
মাদরাসাশিক্ষক মিজানুর জানান, দুই বছর আগে তার প্রথম সন্তান মারা যায়। এবার পাঁচ সন্তান হওয়ায় তিনি বেশ খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু একে একে তিন সন্তান মারা গেছে।
লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ লতিফা আক্তার বলেন, শারমিন আক্তার সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন। হাসপাতালে আসার পর তার আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। এতে তার পেটে চারটি বাচ্চা দেখা গেছে। এরপর তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। পরে তিনি স্বাভাবিকভাবে একে একে পাঁচটি বাচ্চা প্রসব করেন। ৭ থেকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বাচ্চাগুলো ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু তাদের ওজন কম ছিল। ফলে মা ও সন্তানদের উন্নত পরিবেশে ইনকিউবেটরে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।