স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে করোনা সংকটের মধ্যেও বাড়ী বাড়ী গিয়ে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে গ্রাহকদের চাপ প্রয়োগ করছেন এনজিও কর্মীরা। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাঠকর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় নিয়ে সদস্যদের সাথে দেনদরবার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঋণ গ্রহীতাদের অভিযোগ এনজিও ও স্থানীয় সমিতির কর্মীরা গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। কিস্তি না দিলে মামলার ভয় দেখিয়ে খারাপ আচরণ করছেন মাঠকর্মীরা। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে কাজ নেই, অন্য দিকে এনজিও’র কিস্তি পরিশোধের চাপ নিয়ে অনেকটা কষ্টের মধ্যে দিন পার করছেন কমলগঞ্জের সহস্হ্রাধিক ঋণ গ্রহীতারা।
জানা গেছে, কমলগঞ্জে, এফআইবিডিবি, ব্রাক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, উদ্দীপন,কারিতাস, আরডিআরএস সহ স্থানীয় কিছু সমবায় সমিতি ও ঋণদান প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন কিস্তির টাকা আদায় করার জন্য গ্রাহকদের চাঁপ দিচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি টাকার জন্য বসে থাকে। যদিও গত ২২ মার্চ এনজিও’র ঋণ শ্রেণিকরণ আগামী জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এবং ছয় মাসের জন্য এনজিও ঋণ কিস্তি শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে কমলগঞ্জে পরিচালিত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায়ে বাড়ী বাড়ী ছুটছেন এনজিওকর্মীরা।
এবিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশেকুল হক বলেন,আগামী ৩০জনু পর্যন্ত কোন এনজিও কর্মী কোনো সদস্যের (গ্রাহক) বাড়িতে গিয়ে কিস্তি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে কেউ স্বেচ্ছায় কিস্তি প্রদান করলে তা গ্রহনে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানান।