স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে দোয়া পড়া নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হামলায় নিরিহ ১ জন আহত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ২ দল মুসল্লির মাঝে উত্তেজনা ঠেলা ধাক্কা হলে রাত ৮টায় এক পক্ষের হামলায় রমজান আলী নামে নিরিহ এক ব্যক্তি আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় হামলা ও বাড়ি লুঠপাটের পৃথক পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, শনিবার সকালে নোয়াগাঁও গ্রামের মঈনুদ্দিন মিয়ার স্ত্রী স্বাভাবিক ভাবে মূত্যু বরণ করলে এদিন রাতে নোয়াগাঁও কবরস্থানে জানাজার নামাজের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এসে জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। জানাজার নামাজ শেষে লাশ দাফনের জন্য কবরস্থানে নিতে গেলে একই গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়া বাঁধা দিয়ে বলেন, দোয়া শেষে লাশ দাফন করতে। এনিয়ে জনৈক দরুদ মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায় ঠেলাধাক্কা হয় ২ জনের মধ্যে। পরে উপস্থিত মুসল্লিরা বিষয়টি সমাধান করে লোকজনকে সরিয়ে দেন। এর জের ধরেই রাতে আলাউদ্দিন মিয়া ও তার ছেলেদের নিয়ে দুরুদ মিয়াকে খুঁজতে থাকেন। এসময় মঙ্গল মিয়ার দোকানের সামনে গিয়ে দুরুদ মিয়ার আতœীয় রমজান আলীর উপর হামলা চালালে তিনি আহত হন। পরে রমজান আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রমজান আলীর ছেলে শাহীন বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রমজান আলীর জামাতা কামাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার শশুড় এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না, তিনি সন্ধ্যায় টমেটো বিক্রি করে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আমার শশুড়কে মারধর করে টাকা চিনিয়ে নিয়েছে আলাউদ্দিন মিয়া ও তার ছেলেরা। এদিন রাতে রমজান আলির উপর হামলা নিয়ে, নোওয়াগাঁও পঞ্চায়েত মুরুব্বিদের উদ্যোগে আব্দুল্লাহর বাড়িতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
অপর দিকে আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন , জানাজার নামাজের ঘটনাটি শেষ হয়ে গেলেও রাতে গ্রামের ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দা লাঠি নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিসাধন সহ আমার ছোট ভাই শাহীনের পা অপারেশন জন্য ড্রয়ারে রাখা ২ লাখ টাকা লুঠ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি আমরা পুলিশকে জানালে রাতে এএসআই তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় আলাউদ্দিন মিয়ার স্ত্রী আমিরুন বিবি বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ করেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জানাজার নামাজের পর দোয়া নিয়ে ২ পক্ষের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিলো, ২ পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।