কমলগঞ্জে থামছেইনা সীমান্তবর্তী এলাকার চা শ্রীমকদের গরু চুরি , প্রতিকার চেয়ে মানব বন্ধন।
মোঃ শাহাব উদ্দিন, কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিগত ৫ মাসে নিরীহ চা শ্রমিকের ১৯৪ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে প্রতিকার চেয়েও নিরাশ চা শ্রমিকরা। চুরেরা প্রভাবশালী হওয়াতে মিলছে না প্রতিকার। গরু চোরদের মূল হোতা ও গরু চুরি বন্ধের দাবিতে মানব বন্ধন করেছে চা শ্রমিকরা।
পুলিশ বলছে, গরুচুরি বন্ধে মূল হোতাদের ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকার চম্পারায় ও কুরমা চা বাগান থেকে প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে নিরীহ চা শ্রমিকদের গরু। ভারতের নিকটবর্তী হওয়াতে কখনো কখনো গরুগুলো চুরি হয়ে সেখানে চলে যায়, আবার কখনো চুরি করে জবাই করে তা কৌশলে বিক্রী করে দেয়া হয়। কখনো পিকআপ, ট্রাক ও প্রাইভেট কারে করে গরুগুলো অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এতে করে গরীব শ্রমিকরা পড়েন সমস্যায়। গরু বিক্রী করে তাদের সন্তানের লেখাপড়া ও বিয়ে সাদী দিয়ে থাকেন। গরুই তাদের সম্পদ, ১০২ টাকা হাজিরাতে তাদের সংসার চলেনা। বাগানবাসী জড়ো হয়ে গরু চুরি বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানিয়ে গত সোমবার চম্পারায় চা বাগানে মানব বন্ধন করেন। গরু চুরির সাথে জড়িত মূল হোতাদেরও গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
অভিযোগ উঠেছে আবাছসহ অন্যদের ছত্রছায়ায় গরু চোরেরা সক্রিয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত আবাছারে মোবাইল ফোনে(০১৭৪৩৯০৮৬৩৮) এ বারবার ফোন দিলেও রিসিভ না করাতে তার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এলাকাবাসী ভোক্তভোগীরা জানান, গরুই তাদের একমাত্র সম্বল। বাগানের হাজিরার টাকাতে তাদের পেটও চলেনা। সুমন খৃষ্টানসহ আরও কয়েকজন বলেন, তাদের গরু চুরি হলে বর্তমান চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি কোনও প্রতিকার না নিলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি লোক লাগিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় গরুগুলো উদ্ধার করে দেন। মো: সুলেমান আহমদ,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, ইসলামপুর বলেন, দোষিদের শাস্তি নিশ্চিতসহ তদন্তে যাদের নাম বেরিয়ে এসেছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করলেই গরু চুরি বন্ধ হতে পারে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, সম্প্রতি দুইটি গরু উদ্ধার করে পিকআপসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে। তদন্ত চলছে, কিছু নাম পেয়েছি, তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।