কমলগঞ্জে নির্দেশ মানছেনা এনজিও ও চা বাগানের মদের পাট্টা গুলো

প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসের মহামারী যখন দেশকে আস্তে আস্তে জেঁকে বসতে শুরু করেছে। অনেক জেলায় লক ডাউন চলছে। এমন অবস্হায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দেয়া নির্দেশ কে বৃদ্ধা আঙুলি দেখিয়ে থেমে নেই এনজিও কর্মীদের কিস্তির টাকা আদায় ও চা বাগান গুলোর মধ্যে অবস্হিত দেশীয় মদের বন্ধের কোন উদ্যেগ। উপজেলা প্রশাসনের দেয়া নির্দেশ কে অমান্য করে এনজিও কর্মীরা তাদের কিস্তির টাকা তুলতে বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন ।

এমন অভিযোগ কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগানসহ গ্রামের হতদারিদ্র লোকদের । বিভিন্ন এনজিও কর্মিরা সমিতির গ্রুপে বাড়িতে গিয়ে সদস্যদের কাছ থেকে কিস্তি আদায়ের দৃশ্য চোখে পড়েছে। অপর দিকে সন্ধ্যা হলেই চা বাগান মধ্যে অবস্হিত মদের পাট্টাগুলোতে মদ বিক্রি ও খাওয়া দৃশ্য। কয়েকজন শ্রমিক ও দিন মজুরের সাথে আলাপ কালে জানা যায় দেশে কি যেন একটা রোগ এসেছে যার জন্য কাজে যেতে পারছিনা আয় রোজকার কমে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে চলাই দুঃসাধ্য এর মধ্যে সমিতির বাবুরা কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিভাবে সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো ?

স্থানীয়দের সাথে বুধবার আলাপকালে তারা বলেন, এই সংকটের সময়ে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি উত্তোলন স্থগিত করা হোক। না হয় মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আরও অতিষ্ঠ হবে নিন্মআয়ের মানুষগুলোর জনজীবন। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এনজিওদের ঋনের কিস্তি বন্ধ রাখার জন্য চিঠি প্রদান করা হলেও গ্রামীণ ব্যাংক, ব্যাক,আশা,ইউনাটেড সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্হা গুলো উপজেলা প্রশাসনের আইন অমান্য করে মাঠ পর্যায়ে কিস্তি আদায় করছে। সরেজমিনে মঙ্গলবার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের একটি বাড়িতে গ্রামীন ব্যাংক মুন্সিবাজার শাখার ম্যানেজার সাদিকুর রহমান তিনি নিজে গিয়ে লোক জমায়েত করে কিস্তির টাকা আদায় করছেন। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দায় এড়াতে চান। তিনি বলেন, কমলগঞ্জের ইউএনও আমাকে কেন চিঠি দিলেন না! বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কিছু জানায় নাই। যখন জানাবে তখন না হয় কিস্তি আদায় বন্ধ করা হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেকুল হক জানান, নির্দেশ জারির পরও যারা আইন অমান্য করে, কিস্তি আদায় ও মদের দোকান খুলা রাখছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।