কমলগঞ্জে পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তায় নির্মাণাধীণ কালভার্টের কাজে চা বাগান কর্তৃপক্ষের বাঁধা
স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির প্রবেশপথ এলাকার রাস্তায় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমাণ উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তায় কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে এই কালভার্ট নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে বন্ধ করে দেন শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ। পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান প্রিসিংলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের আওতায় কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের কালেঞ্জী খাসিয়া পুঞ্জি, ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা খাসিয়া পুঞ্জি ও মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জিতে যাতায়াতের রাস্তায় পাহাড়ি ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কালেঞ্জী খাসিয়া পুঞ্জির প্রবেশ পথের কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। কুরমা খাসিয়া পুঞ্জির রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণ চলছে। ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শুক্রবার (১৭ জুলাই) পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির প্রবেশ পথের কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু হলে শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমার বাঁধা দিয়ে এ কালভার্ট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। ঘটনাটি তিনি শুক্রবার সকালেই কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হককে অবহিত করেছেন। পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান প্রিসিংলী অভিযোগ করে আরও বলেন প্রায় দেড় বছর আগে এই পুঞ্জিতে প্রবেশ পথের রাস্তায় এলজিইডির মাধ্যমে কালভার্ট নির্মিত হয়েছিল। তখন নির্মিত কালভার্টটি শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিয়েছিল। রাস্তায় কালভার্ট না থাকলে পুঞ্জির ৫০টি পরিবারের যাতায়াতের অসুবিধার সাথে উৎপাদিত পান বাজারজাত করণে সমস্যায় পড়তে হয়। রাস্তাটি শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের ভেতর দিয়ে চলমান থাকায় এ পুঞ্জির খাসিয়া পরিবারগুলো এ চা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকটা জিম্মি অবস্থা আছে। অভিযোগ সম্পর্কে মুঠোফোনে (০১৭১৫০০২৯৩৬) শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত কুমারের সাথে কয়েক দফা কথা বলার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির প্রবেশ পথে একটি কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। তিনি পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যানের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন।