কমলগঞ্জে বিধবার জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকারি এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে এক বিধবা নারীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার ২১ ফেব্র“য়ারী দুপুর ২টায় কমলগঞ্জের কাগজ পত্রিকার কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার স্ত্রী কুলছুম বিবি এ অভিযোগ করেছেন । এসময় তার মেয়ে শাবানা আক্তার ও ছেলে রাসেদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নৈশ প্রহরী একই গ্রামের মৃত মিয়াধন মিয়ার ছেলে আপ্তাব উদ্দিন ও তার সহযোগীরা মিলে গত ১৭ ফেব্র“য়ারী গভীর রাতে তার লোকজন নিয়া আমার জমির(দাগ নং ৫০৮৭, /৫০৮৮, খতিয়ান ১২৪২. জেএল নং ৮৩.মৌজা মাধবপুর) উপর গৃহ নির্মানের মাধ্যমে দখলে নেয়। খবর পেয়ে বাধা দিলে আপ্তাব উদ্দিন ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে । গুরুতর আহত হলে খবর পেয়ে স্বজনরা প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে মাথায় আঘাত নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় আছি। এ সুযোগে আফতাব উদ্দিন বর্তমানে আমার জমিতে ঘর তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কুলছুম বিবি আরও জানান, আপ্তাব মিয়া ২০১৫ সালে ৪৬/১৫ স্বত্ব মামলা মৌলভীবাজার জজ আদালত কমলগঞ্জে আমার স্বামী ফরিদ মিয়ার নামে মামলা দায়ের করে। মামলা চলাকালীন আমার স্বামী ফরিদ মিয়া মারা যান। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আমার পক্ষে রায় ডিগ্রি হয়। রায় হওয়ার পর বাদী আফতাব উদ্দিন সে জেলা জজ আদালতে উক্ত মামলার আপিল করে। আপ্তাব উদ্দিন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বহিী কর্মকর্তার অফিসের নৈশ প্রহরী হিসেবে সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে মাধবপুর ইউনিয়নের অনেক গরীব অসহায় পরিবারের ভূমির উপর মামলা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করছে এমনকি দখল করে বৃক্ষ রোপন করেছে। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, ভূমি দখলের বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের কাছে আপ্তাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

অবৈধভাবে বিধবার জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আপ্তাব মিয়া বলেন, আমি ক্রয়সূত্রে এ জমির মালিক।আমি আমার জমিতে গৃহ নির্মাণ করলে কারও কোন অভিযোগ থাকার কথা নয়। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক জানান, তিনি বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত নন। তবে সরকারী চাকুরীজীবি হয়ে প্রভাব খাটিয়ে কেউ এরকম অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।