কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসকের সার্বিক নির্দেশনা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন এর নেতৃত্বে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতায় বুধবার (২৮ অক্টোবর) শমশেরনগর বাজারের এয়ারপোর্ট রোড, মাছ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসী এবং অন্যান্য দোকানে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উক্ত তদারকি অভিযানে রাস্তার পাশে খোলা অবস্থায় খাদ্য পণ্য রেখে বিক্রয় করা, ধার্যকৃত মূল্য থেকে অধিক দামে আলু বিক্রয় করা, মূল্য তালিকা না রাখা, ওজনে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে এয়ারপোর্ট রোডে অবস্থিত জনি হোটেলকে ২ হাজার টাকা, মাছ বাজারে অবস্থিত নছির আলির সবজির দোকানকে ৫ শত টাকা, পাল ষ্টোরকে ১ হাজার টাকা, হারুন মিয়ার মাংসের দোকানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
এছাড়াও পঁচা মাংস বিক্রয় করার অভিযোগ এনে মো: আহাদ আলী শমশেরনগর বাজারে অবস্থিত কামরুল মিয়ার মাংসের দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আইন অনুসারে ২৫ শতাংশ ১,৫০০/-টাকা অভিযোগকারী আহাদ আলীকে প্রদান করা হয়। উক্ত অভিযানে সকল আলু ব্যবসায়ীদের সরকারি নির্ধারিত দামে ক্রয় বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
অভিযানে মোট ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১০ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাঁচামাল, মশলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং ভোগ্য পণ্য সামগ্রীর দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে এবং নকল হ্যান্ড সেনিটাইজার ও নিম্ন মানের সংক্রমণরোধী জীবাণুনাশক বিক্রয় না করতে পারে সেই লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে।