কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের মাঝে কোভিড-১৯ এর ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন করে দিচ্ছেন সমাজের প্রয়োজনে কোভিড-১৯ সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর সদস্যরা।
গত ২৯ জুলাই বিকালে শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহ টিলা গ্রাম থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে শমশেরনগর ইউনিয়নের মরাজানের পার, সতিঝির গ্রাম, রাধানগর, কৃষ্ণপুর, শংকরপুর, ভরতপুর, শমশেরনগর বাজার, শমশেরনগর রেল স্টেশন কলনি, কেচুলুটি গ্রাম ও ভাদাইরদেউল গ্রামে প্রায় ১৫০০ জনকে ফ্রী ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশন ও প্রিন্ট কপি দেয়া হয়।
সম্প্রতিকালে সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের গৃহিত টিকা কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় গ্রহন করা হয়েছে ব্যতিক্রমি এই উদ্যোগটি। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, চা বাগান ও শহরের আশপাশে গড়ে ওঠা বস্তি পল্লীগুলোতে ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে তাদের ‘ফ্রি সার্ভিস’ কর্মসুচিটি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই শমশেরনগরের এক ঝাক তরুণ যুবসমাজকে নিয়ে গঠিত হয় সমাজের প্রয়োজনে কোভিড ১৯ সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠনের মূল লক্ষ হচ্ছেঃ ১) করোনায় কেউ মারা গেলে তার লাশ গোসল ও কাফন দাপন করা। ২) করোনায় আক্রান্ত হলে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৩) বিনামূল্যে অক্সিজেন সেলিন্ডার সরবরাহ করা। ৪) করোনা রোগীর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়া (প্রয়োজন হলে) ৫) সবাইকে ভ্যাক্সিন দিতে উৎসাহিত করা। ৬) ফ্রী ভ্যাক্সিন রেজিষ্ট্রেশন ও প্রিন্ট কপি দেয়া। ৭) ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য সংগঠনের নিজেস্ব অর্থায়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ৮) করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সংগঠনের নিজেস্ব অর্থায়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ফ্রী পরিক্ষা করানো হবে। ৯) করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ফ্রী এম্বুল্যান্স ব্যবস্থা (শুধু মাত্র করোনা রোগীর জন্য প্রয়োয্য)। ১০) ফ্রী মাক্স বিতরণ ও গ্রাম,পাড়া,মহল্লায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা করা।
এছাড়াও যে কারো যেকোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন হলেই পাশে গিয়ে দাড়াচ্ছে সমাজের প্রয়োজনে কোভিড ১৯ সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই পর্যন্ত এই সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগীর বাসায় অক্সিজেন সেলিন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে এবং করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।