কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে রাস্তার পাশে যত্রতত্র বেকারীর নিম্ন মানের বিস্কুট বিক্রি হচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায় দামে সস্তা হওয়ায় অনেকেই নিম্ন মানের এসব বিস্কুট কিনে নিচ্ছেন। এসব বিস্কুট অস্বাস্থ্যকর হলেও তা দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে রাস্তার পাশে যত্রতত্র বিস্কুটের দোকান দেখা যায়। বেকারী সমুহের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্ন মানের এসব বিস্কুট স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর এসব বিস্কুট খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বাজারের ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন আহমদ, হারিস মিয়া ও শিক্ষক জমশেদ আলী বলেন, বেকারীর খুবই নিম্ন মানের বিস্কুটগুলো বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এসব না জেনে, না বুঝে কম দামে কিনে নিচ্ছেন। ফলে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূইয়া বলেন, একদিকে বেকারীর বিস্কুট নিম্ন মানের, অন্যদিকে রাস্তার পাশে ধূলাবালি ও মশা মাছির উপদ্রব রয়েছে। ফলে অস্বাস্থ্যকর এসব খাবার মোটেও ঠিক নয়।
এব্যাপারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর সহকারী পরিচালক মো. আল-আমীন জানান, হাটবাজারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকি ও অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আমরা আসার পর এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। তবে কোথাও পাওয়া গেলে জরিমানাসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, এ ধরণের বিষয়ে কেউ অভিযোগ জানায়নি। তবে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।