
ধলাই ডেস্ক: ফরিদপুরের সদর উপজেলায় কুকুরে কামড়ে নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সদর উপজেলার কৈজুরি ও পাশের কানাইপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইপুরের হলুদবাড়িয়া গ্রাম থেকে একটি লাল রঙের কুকুর হঠাৎ করে সবাইকে কামড় দেওয়া শুরু করে। প্রথমে কামড় দেয় হলুদবাড়িয়া গ্রামের মিম নামে দুই বছরের এক শিশুকে। এরপর ফুশরা, সাঁচিয়া, বিল নালিয়া, তাম্বুল খানা ও সবশেষে শোলাকুন্ডু গ্রামে কুকুরটি তাণ্ডব চালায়। ফলে এলাকায় আতঙ্ক নেমে আসে। পরে শোলাকুন্ডু এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এলাকাবাসী।
কুকুরের কামড়ে আহত ৩৩ জনকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে গুরুতর আহত ১৩ জনকে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৩ জন হলেন- কানাইপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সোবহানের স্ত্রী খালেদা, ফুসরা গ্রামের নাজমুলের ছেলে সাব্বি, সোবহানের ছেলে ছেলে সাদ্দাম, মানিক খানের ছেলে শিশু হামিম খান, শোলাকুন্ডু গ্রামের আলমগীরের ছেলে শিশু সামিউল, আবদুল আলীর মেয়ে তমা, রানু বেগম, মামুনের মেয়ে শিশু জামিলা, মাজেদের মেয়ে হাসি বেগম, তাম্বুলখানা গ্রামের শামিমের মেয়ে শিশু সিনথিয়া, সাচিয়া গ্রামের সেকেন শেখের মেয়ে সীমা, মোসলেমের মেয়ে শিশু মিম, বিলনালিয়া গ্রামের শওকতের ছেলে শিশু ফারদিন।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির হাসান জিসান, বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত রোগীরা হাসপাতালে আসেন। গুরুতর আহত রোগীদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কুকুরের কামড়ে আহতরা এখন শঙ্কামুক্ত।