আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামপন্থী একটি সশস্ত্র সংগঠনের একজন কমান্ডার ও পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) গাজা শহরের কেন্দ্রে প্যালেস্টাইন টাওয়ারের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি হামলায় কমান্ডার তায়সির আল-জাবারি নিহত হন।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ এই বিমান হামলা। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট দাবি করেছেন, হামলায় ১৫ জনের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসলামি জিহাদ নামের একটি সংগঠন বলেছে, ইসরায়েল তাদের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। তাদের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্মিলিতভাবে নিজেদের ও আমাদের জনগণেকে রক্ষা করতে হবে। আমরা প্রতিরোধ করব এবং জাতীয় স্বার্থ কঠোরভাবে রক্ষা করব। ’ অন্যদিকে, গাজার নিয়ন্ত্রক সংগঠন হামাস বলছে, ইসরায়েল ‘নতুন একটি অপরাধ করছে যার জন্য তাকে মূল্য দিতে হবে। ’
প্যালেস্টাইন টাওয়ারের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা শুক্রবার মাত্র দুপুরের খাবার খাচ্ছি এবং আমাদের সন্তানরা খেলছিল। হঠ্যাত্ বড় এক বিস্ফোরণ টাওয়ারে আঘাত হানে যেখানে আমরা থাকি। শব্দটা ছিল বড়। আমরা খুব বিমর্ষ কারণ সেখানে বেসামরিক মানুষে পরিপূর্ণ। আমি অনেক হতাহত দেখেছি যাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ’
খবরে বলা হয়, গাজার কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছে। ইসরায়েলের ড্রোনগুলোর শব্দ শোনা গিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুস ও রাফাহ এলাকা থেকে শব্দ এসেছে।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন অঞ্চলে একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি নেতা বাসাম আল-সাদিকে গ্রেফতারের পর নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান