
ধলাই ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসের’ প্রভাবে উত্তাল সাগর মোহনা ও নদীর। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে পটুয়াখালীর নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি। জোয়ারের পানির চাপে জেলার উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে উপকূলের কয়েকশ পরিবার।
পটুয়াখালীর দুর্গম উপজেলা রাঙ্গাবালীর বিছিন চরমান্তাজ ইউনিয়নের নয়ারচর গ্রামের কাসেম বয়াতি ও খাদিজা বেগম। বেড়িবাঁধের ওপর কোনরকম ছাপড়া তৈরি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। তবে মঙ্গলবারের উচ্চ জোয়ারের পানিতে সেই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এখন মাথা গোজার ঠাঁই নেই পরিবারটির।
ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের খোঁজ খবর রাখলেও ক্ষয়ক্ষতি লাগবে সারা বছর কোনো উদ্যোগ থাকে না বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর।
বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ মোল্লা বলেন, ‘সারা বছরই উপকূলের উন্নয়নে এবং দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। অনেক এলাকায় প্রয়োজনীয় সাইক্লোন শেল্টার নির্মিত হলেও বাঁধগুলো এখনও অনেকটা অরক্ষিত। কিছু কিছু বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।’
এদিকে জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, উচ্চ জোয়ারের পানির কারণে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা এবং বাঁধের মধ্যে কিছু মাছের ঘেরের ক্ষতি সাধিত হয়েছে।