ধলাই ডেস্ক: ছেলে সন্তান না হওয়ায় ৪০ দিন বয়সী ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাবা জাহাঙ্গীর শিকদার।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বরগুনার আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি কন্যাশিশু হত্যার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শিকদার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ঘোছখালী গ্রামের বাসিন্দা।
পরে গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিদনীর বাবা জাহাঙ্গীর শিকদারকে আটক করে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এরপর জাহাঙ্গীর শিকদারকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার সকালে আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে তিনি কন্যা শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আমতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, দুই কন্যা সন্তানের পর তৃতীয়বারও কন্যা সন্তান হওয়ায় জাহাঙ্গীর শিকদার ক্ষোভে ৪০ দিন বয়সী জিদনীকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের এটা জানান। এরপর আমরা তাকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য পাঠালে তিনি আদালতে কন্যা সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করেন।