আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষ মেশানো চিঠি পাঠানোর ঘটনায় সন্দেহভাজন এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই চিঠিতে রাইসিন নামক এক ধরনের মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থ মেশানো ছিল বলে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগেই ওই চিঠি জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। খবর সিএনএন।
ওই নারী কানাডা থেকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বর্ডার ক্রসিং দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন বলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
হোয়াইট হাউসের ঠিকানায় পাঠানো যে কোন চিঠি সেখানে পৌঁছে দেয়ার আগেই তা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য একটি আলাদা কার্যালয় রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষা নিরীক্ষার সময়ই ওই চিঠিতে বিষ শনাক্ত হয়।
খামের ভেতরে চিঠিতে রাইসিন মেশানো ছিল। ক্যাস্টর অয়েল যে ধরনের বীজ থেকে তৈরি হয়, সেই একই বীজ থেকেই তৈরি হয় রাইসিন বিষ। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি বলছে, রাইসিন এতটাই বিষাক্ত যে মাত্র কয়েক ফোটা লবণ দানার পরিমাণ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাতে পারে।
রাইসিন কোনভাবে খেয়ে ফেললে, নিঃশ্বাসের সঙ্গে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ঘোরা, বমি শুরু হয়। এরপর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে। কতটুকু পরিমাণ রাইসিন শরীরে প্রবেশ করেছে তার ওপর নির্ভর করে ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটে।
অন্য আরও কাউকে একই ধরনের চিঠি পাঠানো হয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করছে সংস্থা দুটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এফবিআই জানিয়েছে যে, আপাতত কোন ধরনের ঝুঁকি তারা দেখছেন না।
ধারণা করা হচ্ছে ওই চিঠি কানাডা থেকে পাঠানো হয়েছে। কানাডিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে তারা এফবিআই-এর সঙ্গে কাজ করছে।
সিডিসি বলছে, রাইসিন দিয়ে তৈরি গুড়ো ও স্প্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগেও হোয়াইট হাউসের ঠিকানায় রাইসিন মেশানো চিঠি পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, ওই চিঠিতে রাইসিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দু’বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
এফবিআই ওয়াশিংটনের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, ট্রাম্পকে বিষ মেশানো চিঠি পাঠানোর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।