আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় আরি প্রদেশে একটি বিশাল মজুতের স্বর্ণের খনিপাওয়া গেছে। মনে করা হচ্ছে, যেখান থেকে ২০ টন স্বর্ণ আহরণ করা যাবে। এছাড়া একই এলাকায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩ দশমিক ৫ টন রুপার সন্ধান পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মুস্তফা ভারাঙ্ক এ ঘোষণা দেন।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খনিতে থাকা স্বর্ণের বাজার মূল্য ১২০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে সাড় ৩ টন রুপার বাজার দর ২৮ লাখ ডলার বা সাড়ে ২৩ কোটি টাকার বেশি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার একটি স্বর্ণ খনির উদ্বোধনের সময় এ ঘোষণা দেন দেশটির শিল্প ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মুস্তাফা ভারানক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজ। ভারানক বলেন, এ আবিষ্কার তুরস্ক ও আরি অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, তুরস্কে পাওয়া অন্য স্বর্ণ খনি থেকে নতুন আবিষ্কৃত খনির ধাতুর মান অনেক উন্নত। যার গ্রেড ভ্যালু ০.৯২। এ খাতে ১৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সঙ্গে যোগ করেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে খনি থেকে স্বর্ণ আহরণ করা হবে।
স্বর্ণ উত্তোলনে তুরস্ক সাম্প্রতিক সময়ে বেশ দক্ষতা অর্জন করেছে। গত বছর মহামারি সত্ত্বেও ১৮টি সক্রিয় খনি থেকে ৪২ টন স্বর্ণ উত্তোলন করে। অথচ বিশাল মজুত থাকা সত্ত্বেও চলতি শতকের শুরুর দিকে দেশটি ১ গ্রাম স্বর্ণও উত্তোলন করতে পারেনি। বর্তমানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের এ শিল্পে কয়েক মানুষ কাজ করছে।
প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, স্বর্ণ ও সিলভার খনি আবিষ্কার তুরস্ক ও ওই অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ২ হাজার লোককে চাকরি দেয়া হবে। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে খনিতে কাজ শুরু হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।