
ধলাই ডেস্ক: রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ধর্ষণের শিকার ছাত্রীরা। তারা বলেন, ৫-৬ জন যুবক এসে আমাদের দুই ছেলে বন্ধু ও অটোচালককে মারধর করে। পরে আমাদের মোবাইলসহ সব নিয়ে যায়। এরপর ওই আমাদের বেঁধে ফেলে। আমরা ধস্তাধস্তি শুরু করলে মারধর করে। কিছুক্ষণ পর একটু দূরে নিয়ে গিয়ে আমাদের ধর্ষণ করে।
কুশারিয়া বাসস্ট্যান্ডের অটোচালক মজনু মিয়া বলেন, রোববার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের অটোরিকশায় তুলে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাই। মেয়েগুলো ভয়ে কাঁপছিল।
কুশারিয়া গ্রামের যুবক হৃদয় বলেন, ছেলেমেয়েদের বাড়ি ফেরার রাস্তা পাহাড়ের ভেতর দিয়ে। ওদের বাড়ি পৌঁছে দিতে চাইলে ওরা বলে ‘আবার আমাদের পাহাড়ে নিয়ে যাবেন! আমরা আর পাহাড়ের দিকে যাবো না’। পরে ওদের একজনের নানির বাড়ি মাকরাইয়ের ছামানের বাজার পৌঁছে দেয়া হয়।
কুশারিয়া বাসস্ট্যান্ডের চা দোকানি সুমন বলেন, ছেলেমেয়েগুলোর পোশাক ছেঁড়া ছিল। শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কারো কারো শরীর থেকে রক্ত ঝড়ছিল।
ওই উপজেলার সন্ধানপুর ইউপির নারী সদস্য কুলসুম বলেন, রোববার রাতে আমার বাড়িতে আশ্রয় চায় মেয়েগুলোর বন্ধু শাহিন। পরে তার কাছে সব শুনে তার বাবার কাছে ফোন করি। তিনি এসে ছেলেকে নিয়ে যান।
ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, তিন ছাত্রীকে ধর্ষণে গ্রেফতার ইউসুফ ও বাবুল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী তিন ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাদেরও জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।