খেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল এখন উৎসবমুখর। বাফুফের ডেলিগেট, প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে উৎসুক মানুষ মিলে পাঁচতারকা হোটেলটি ফুটবল সংগঠকদের পদচারনায় মুখরিত।
সকাল ১১টায় কাজী মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে শুরু হয়ে ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই শেষ হয়েছে এজিএম। মূলতঃ গত এক বছরে বাফুফে যে কার্যক্রম করেছে, আয়-ব্যয় করেছে তার হিসাব অনুমোদন এবং ২০২১ সালে কি কি কার্যক্রমের বাজেট অনুমোদন হয়েছে এই সাধারণ সভায়। দ্বিতীয় পর্বে হবে নির্বাচন। আগামী চার বছরের জন্য ফুটবল পরিচালনার দায়িত্বে কারা আসছেন ভোটে তা নির্ধারণ হবে আজ।
হোটেলের বলরুমে যখন চলছিল বার্ষিক সাধারণ সভা, বাইরে তখন প্রার্থীরা ব্যস্ত ছিলেন ভোটারদের মন জয় করতে। যখন কোন ভোটার হলরুমের বাইরে এসছেন তখনই তাকে ঘিরে ধরেছেন প্রার্থীরা। বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য নন এবং ভোটার নন এমন যারা প্রার্থী আছেন তাদের এজিএম স্থলে প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
বাফুফেতে দূর্নীতি হচ্ছে- বিগত কয়েক বছর ধরে এমন অভিযোগ ছিল সালাউদ্দিন বিরোধীদের। কিন্তু সাধারণ সভায় কোনো কাউন্সিলর এ বিষয় নিয়ে কোনো কথাই বলেননি। দু’একটি বিষয় ছাড়া কোনো কিছু নিয়েই তেমন কোন আপত্তি তোলেননি কাউন্সিলররা। কোনো প্রকার হট্টগোল ছাড়া নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে বাফুফের বহুল আলোচিত বার্ষিক সাধারণ সভা।
এজিএম শেষে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, ‘এমন সুন্দর এজিএম আমি কখনোই দেখিনি। দু’ একটি বিষয় নিয়ে কেউ কেউ কথা বলেছেন। এজিএমে এটা হওয়াই স্বাভাবিক। কেউ কেউ আগামী দিনে ফুটবল উন্নয়নে পরামর্শ দিয়েছেন। একজন কাউন্সিলর আয়-ব্যয় নিয়ে একটা ত্রুটি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেটা সংশোধন করা হয়েছে। তবে সব কিছুই অনুমোদন হয়েছে।’