ধলাই ডেস্ক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বড় অংশ দখল করে রাখা আছে ১২টি প্লেন। পার্কিং চার্জ না দিয়েই দীর্ঘদিন কার্গোতে পড়ে আছে এই বিমানগুলো। যা নিয়ে সংকটে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
অবশেষে বছরের পর বছর এভাবে পড়ে থাকা ওই ১২টি প্লেন নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক। তবে নিলামে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে বিমানগুলো কেটে কেজি দরে বিক্রি করা হবে। সোমবার বেবিচক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, এরইমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নিলামের কর্মপদ্ধতি এবং সুপারিশমালাও দিয়েছে। এখন কেবল নিলাম আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পালা।
বেবিচক জানায়, বর্তমানে বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে প্লেন দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। প্লেনগুলোর মধ্যে ১০টি গত ৮ বছর ধরে কার্গো ভিলেজের জায়গা দখল করে আছে। এসব পরিত্যক্ত প্লেনের কারণে কার্গোর মাল ওঠা-নামায় সমস্যা হয়। তাই জায়গা খালি করতে দীর্ঘদিন ধরে উপায় খুঁজছিল বেবিচক। সবশেষ এ বিষয়ে গঠিত ৪ সদস্যের কমিটি প্লেনগুলো নিলাম করার সুপারিশ করেছে।
বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এই প্লেনগুলোর পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ ৭৫০ কোটি টাকার মতো বকেয়া। তারা এই টাকা দিচ্ছে না। বরং দীর্ঘদিন ধরে কার্গোর জায়গা দখল করে বেবিচকের রাজস্ব আদায়ের অন্যান্য পথ বন্ধ করে রেখেছে।
এ বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান বলেন, এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্লেনগুলো সেখান থেকে সরিয়ে না নেয় এবং টাকাও পরিশোধ না করে সেক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের রুল অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করার ক্ষমতা রাখেন।
পুর্বে এয়ারলাইন্সগুলোকে বেশ কয়েকবার প্লেন রাখার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে অথবা প্লেন সরিয়ে নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‘প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে’ বলে সতর্কও করা হয়েছে। তারা কোনো সাড়া দেয়নি। এ বিষয়ে বেবিচকের কমিটি যে কর্মপদ্ধতি সুপারিশ করেছে, সেই অনুযায়ী নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
বেবিচক আরো জানিয়েছে, কেউ যদি নিলামে প্লেনগুলো কিনতে আগ্রহী না হয় তাহলে ভাঙারি হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হবে। শিগগিরই বিক্রির কর্মপদ্ধতির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেবে তারা।
