কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: নেশার টাকা না দেয়ার দীর্ঘ দিন ধরে পিতা মাহমুদ আলীকে শারীরিক মারধোর ও বিভিন্নভাবে অপমান করে আসছিল ছেলে সুমন মিয়া (২৫)। গ্রামবাসী একাধিকবার সালিশ বিচার করলেও ছেলে মারধোর বন্ধ করেনি। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নেশাখোর ছেলে আবারও বাবাকে নির্যাতন করলে মনের দুঃখে রশি দিয়ে রাস্তায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নির্যাতিত মাহমুদ আলী (৬২)। এলাকাবাসী দেখে তাকে রক্ষা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের জামিরকোনা গ্রামে। এ ঘটনার পর নেশাগ্রস্ত ছেলে সুমন মিয়া রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামির কোনা গ্রামের মাহমুদ আলী একজন দরিদ্র কৃষক। কৃষি কাজ করে সংসার চলে। ছেলে সুমন মিয়া লেখাপড়া বাদ দিয়ে মায়ের আদরে নেশায় জড়িয়ে পড়ে। বাবা মাহমুদ আলী ছেলেকে শাসন করলে তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে মারধোর করেন। দীর্ঘ দিন ধরে ছেলের এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী একাধিকবার সালিশ বিচার করলেও কোন কাজ হয়নি। প্রতিনিয়ত নেশার টাকার জন্য বাবাকে নানাভাবে নির্যাতন করে বখাটে ছেলে সুমন মিয়া। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ছেলে সুমন মিয়া নেশার টাকার জন্য পিতা মাহমুদ আলীকে পেটালে মনের দুঃখে রশি নিয়ে আদমপুর সড়কের একটি গাছের সাথে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিলে রাস্তা দিয়ে যাবার পথে এলাকাবাসীর চোখে পড়লে মাহমুদ আলীকে আত্মহত্যার পথ থেকে রক্ষা করেন।
অপমানিত পিতা মাহমুদ আলী বলেন, ছেলে আমাকে তার মায়ের সহযোগীতায় প্রায়ই মারধোর করে। তাই কষ্টে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছিলাম। এদিকে বাবা আত্মহত্যার চেষ্টার খবর শুনে রাতেই নেশাখোর ছেলে সুমন মিয়া বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুপেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, ছেলেটা খারাপ। বাবাকে মারধোর করার বিষয়ে একাধিক বিচার করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।