ধলাই ডেস্ক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত পদবঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের দ্রুত গেজেটভুক্তির দাবি জানিয়েছেন সদ্য জাতীয়করণকৃত বঞ্চিত শিক্ষকরা। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডেশনসহ সব ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কার্যকার চাকরিকাল গণনা করে পদোন্নতি, টাইম স্কেলসহ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির দাবিও জানান তারা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সদ্য জাতীয়করণকৃত বঞ্চিত শিক্ষকরা এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৬ হাজার প্রধান শিক্ষক গেজেটভুক্ত হতে পারছেন না। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ৪ জন সহকারী ও ১ জন প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির ঘোষণা হয়। সেই ঘোষণা মোতাবেক ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার প্রধান শিক্ষককে গেজেটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি শিক্ষকদের বিষয়ে ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক ও আশ্বাসের পরও তাদেরকে অন্যায়ভাবে সহকারী শিক্ষকের গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তারা দাবি জানিয়ে বলেন, এমতাবস্থায় আমাদেরকে দ্রুত প্রধান শিক্ষকের গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডেশনসহ সব ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকাল গণনা করে পদোন্নতি, টাইম স্কেলসহ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদবঞ্চিত শিক্ষকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এস এম আব্দুল গফুর, মীর মোহম্মাদ গিয়াস উদ্দিন, এ কে এম মনির প্রমুখ।