ধলাই ডেস্ক: ভারত থেকে থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে উজানের পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলোই খুলে দিতে হয়েছে।
তিস্তা নদী তীরবর্তী নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকালে তিস্তা নদীর দোয়ানী ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও মধ্যরাত থেকে কমতে থাকে পানির প্রবাহ। এখানে নদীর বিপদসীমা ৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিমে বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিস্তায় পানি বেড়েছে। ফলে তিস্তা নদীবেষ্টিত ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। অনেকের বাড়ির চুলাসহ আশপাশ ডুবে গেছে। এতে রান্না করা বন্ধ হয়ে গেছে।
ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি, কেল্লাবাড়ির চরের প্রায় ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তারা ঠিকমতো রান্না করতে না পারায় খাদ্য সমস্যায় পড়েছে। ইউপি থেকে আমরা তাদের শুকনো খাবার দিয়েছি। কয়েকটি পরিবারকে উঁচু স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে।
খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার জানান, বাইশপুকুর ও ছোটখাতা চরের প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকাগুলো নদী-সংলগ্ন হওয়ায় নদীতে পানি বাড়লেই তারা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাদের অনেকেই এখন তিস্তা ব্যারাজের কলম্বিয়া বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, পানিবন্দি ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মানুষদের জন্য ছয় মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
তিনি জানান, প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করছি। যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে আমরা সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেব। তবে মানুষজন যাতে নিরাপদে থাকে, সে জন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।