প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান গুরুতর অসুস্থ নায়ক শাহিন আলম

প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

বিনোদন ডেস্ক: একসময়ের অপরিহার্য চিত্রনায়ক শাহিন আলম পর্দা থেকে হারিয়েই গেছেন। মেয়ের আত্মহত্যার পর থেকেই সিনেমাকে বিদায় বলে দেন তিনি। এরপর মন দিয়েছেন ব্যবসায়। রুপালি পর্দার বাইরে চলে যাওয়ায় খবর কিংবা আলোচনারও বাইরে তিনি। কিন্তু শাহীন আলম খবরে এসেছেন।

মন খারাপের সেই খবরটি হলো গুরুতর অসুস্থ এই অভিনেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে একবার হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। সে যাত্রায় বেঁচে ফিরেছিলেন সুচিকিৎসা আর সবার দোয়ায়। এরপর কিছুটা ভালো সময় কাটালেও চলতি বছর থেকে আবারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তার।

ফলে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডায়ালাইসিসের জন্য যেতে হচ্ছে শাহিন আলমকে। এই অসুখের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে বেশ অর্থ সংকটে রয়েছেন তিনি। এ নায়ক বলেন, সে ছাড়া তার পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। গুলিস্তানে তার কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা খরচ চালিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে আছে আর্থিক অবস্থা।

তার ওপর করোনার এই সময় ব্যবসা বন্ধ। খুবই করুণ দিন পার করছেন তিনি সংসার নিয়ে। এসময় তার চিকিৎসার অর্থ জোগার করে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদান চেয়ে আবেদন করবেন বলে জানান।

এছাড়া তার ভক্ত-অনুরাগী ও সমাজের বিত্তবানদের কাছেও চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

শাহিন বলেন, ‘জীবনের গতি বদলে গেছে। সেই রঙ, সেই উচ্ছ্বাস আজ আর নেই। খুব কঠিন সময় পার করছি। নিজের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে শংকার মধ্যে রয়েছি। শিল্পী সমিতি থেকে মিশা ও অমিত হাসানের সঙ্গে কথা হয়। তারা নিয়মিত খোঁজ রাখে। তাদের আমার এই দুরবস্থার কথা বলিনি। কারণ আমার চেয়ে আরও অনেক শিল্পী আছে যারা অর্থের অভাবে খেতে পর্যন্ত পারে না।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মিশার সঙ্গে কিছুদিন আগেই কথা হয়েছে। আমি আসলে আর পারছি না। তাই ওর সঙ্গে কথা বলেছি। শিল্পী সমিতির মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছে মিশা। সে অনুযায়ী আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছি। আশা করছি একটা আশার আলো দেখতে পাবো।’

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাহিন আলম। এরপর বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তা পান। তবে মূল নায়ক হিসেবে খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করতে পারেননি তিনি। তার ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করেছে ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, স্বপ্নের নায়ক, দেশদ্রোহী, আমার মা, দলপতি, হঠাৎ বৃষ্টি ইত্যাদি ছবিগুলো।