ধলাই ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রেমিকের সহযোগিতায় স্কুল শিক্ষিকা মাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে রাজ্যের রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ার পাঁচপুকুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে ওই নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। দুই মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন তারা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের রোষানল থেকে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে। পুলিশ দুই মেয়েকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নিহত বছর কল্পনা দে সরকার নামের ওই নারী রায়গঞ্জের দেবীনগর দেবপুরী এলাকার বাসিন্দা। পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। ১৩ বছর আগে ওই নারীর স্বামী রঞ্জিত রায় মারা যান। দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
দেশটির একটি দৈনিক বলছে, শনিবার সকালের দিকে বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে কল্পনার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই নারীর বড় মেয়ে মনা রায়গঞ্জের একটি কলেজের স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। দেড় বছর আগে স্থানীয় একটি ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ের জন্য চাপ তৈরি দিতে থাকেন প্রেমিক।
তবে মেয়ের প্রেমিককে পছন্দ না হওয়ায় বিয়েতে বাধা দেন মা। আর এতে তাতেই মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয় মেয়ের। ওই নারীর বড় মেয়ের বন্ধুবান্ধবরা প্রায়ই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। তাতেও আপত্তি ছিল মায়ের।
মনোমালিন্যের জেরে শুক্রবার রাতে প্রেমিকের পরামর্শে বড় মেয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে মাকে। এরপর বস্তার মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মেয়ের প্রেমিক। বস্তা থেকে বের করে দেহ রাস্তায় ফেলে দেয়।
শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওই নারীর দুই মেয়েকে গণপিটুনি দেন। এ ঘটনার সঙ্গে ওই নারীর ছোট মেয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি-না, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে জেরা করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।