কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে তুচ্ছ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক জলিল মিয়া নিহতের ঘটনায় শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফি ও তার দুই ভাইসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামী করে নিহতের বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে এ মামলাটি করেন।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে মরদেহ আলীনগর গ্রামে পৌঁছলে রাত সাড়ে ৮টায় জানাজার নামাজ সম্পন্ন করে জলিল মিয়াকে দাফন করা হয়। নির্মমভাবে ছুিরকাঘাতে নিহত সিএনজি চালককে খুনের ঘটনায় শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সরেজমিন ঘটনাস্থল শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকা পরিদর্শণ করে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া নিহত ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণে পুলিশি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, শুক্রবার রাতে নিহত সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়ার বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফিকে। তার সাথে পর্যায়ক্রমে রয়েছে তার ছোট ভাই জেলা যুবদল নেতা গোলাম রাব্বানী তৈমুর, তার ভাই কমলগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিত, সাইফুল ইসলাম ও আলম মিয়া। এছাড়া আরও ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের সরেজমিন পরিদর্শণ, মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নিহতের বাড়িতে যাবার সত্যতাও নিশ্চিত করেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাতে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগে গ্যাস ফিলিং করতে কারের লাইনে চলে যায় সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়া। এ নিয়ে গ্যাস ভরতে আসা কার এর মালিক কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফি ও তার চালকের সাথে সিএনজি অটো চালক জলিলের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাম কিবরিয়া শফি ফোন করে কমলগঞ্জ থেকে তার ভাই গোলাম রাব্বানী তৈমুর, গোলাম মুগ্নী মুহিত সহ একদল যুবককে ঢেকে আনেন। আগত যুবকরা এসেই সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়াকে উপর্যপরিভাবে ছুরিকাঘাত করলে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জলিলকে মৃত ঘোষনা করেন।