ফলোআপ : কমলগঞ্জে নারী ইউপি সদস্যকে মারধর! ইউনিয়নের ওয়েভ সাইড থেকে নারী সদস্যের তথ্য মুছে ফেলা হলো
স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউনিয়নে বুধবার পুরুষ ইউপি সদস্য কর্তৃক এক নারী ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা হলেও পুরুষ সদস্যেকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। অন্যদিকে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েভ সাইড থেকে মুছে ফেলা হলো নির্যাতিতা নারী ইউপি সদস্যের তথ্য।
ত্রান বিতরনে অনিয়মের অভিযোগের কারণে ইউপি সদস্য শারমীন চৌধুরী গত বুধবার ইউনিয়ন অফিসে আসার পর তাকে মারধর করেন সহকর্মী ইউপি সদস্য রুহেল চৌধুরী। আহত নারী সদস্য ঐরাতেই নিজে বাদি হয়ে সদস্য রুহেল চৌধুরীকে আসামী করে থানায় মামলা করেছিলেন। মামলার ৩দিন অতিবাহিত হলে ও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শনিবার সকালে শারমীন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, আসামী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছত্র ছায়ায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না। উল্টো শনিবার সকাল থেকে শমশেরনগর ইউনয়িন পরিষদের ওয়েভ সাইড তার মুঠোফোন নম্বরসহ বাসার ঠিকানা মুছে ফেলা হয়। তিনি ছাড়া পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যের তথ্য ওয়েভ সাইডে রয়েছে। তিনি মনে করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ইচ্ছে করেই এ কাজটি করেছেন।
শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল আহমদ বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে ও উপজেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত হচ্ছে সেহেতু তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে নারী সদস্যের তথ্য মুছে গেছে। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী মামলার পর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টার কথা স্বীকার করে বলেন, সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে মামলার ৩দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ইউপি সদস্য রুহেল চৌধুরীকে গ্রেফতার করতে না পারায় ১৬ মে শনিবার ইউপি সদস্য শারমীন চৌধুরী কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।