বাল্যবিয়ে ভাঙল পুলিশ, কনেপক্ষ দুষছে ‘দাওয়াতবঞ্চিত’ চেয়ারম্যানকে

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: বিয়ের অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। কনের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের ব্যাপক সমাগম। বর আসছে হাতিতে চড়ে। হাতিতে বর আসার খবর পেয়ে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। তবে ধুমধাম করে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বাড়িতে হাজির পুলিশ। অপরদিকে কনের বাড়িতে পুলিশ আসার খবর পেয়ে বর পক্ষ দ্রুত হাতিসহ সবকিছু ফিরিয়ে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। তবে কনের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকদের বিয়ের দাওয়াত না দেয়ায় পুলিশ দিয়ে বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।

জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৫) সঙ্গে একই ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের চাকরিজীবী ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা ছিল। বিয়েতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়। অর্ধশতাধিক বর যাত্রী নিয়ে হাতির পিঠে চড়ে বর আসবে। কিন্তু কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পুলিশ বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেয়। এছাড়া কনে পক্ষের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের পূর্বশত্রুতা রয়েছে। সে কারণে বিয়ে বন্ধের এ ঘটনা বলে জানায় কনের পরিবার।

তবে মেয়ের এক চাচা বলেন, বিয়ে আগেই হয়েছিল। আজ ছিল বিদায় অনুষ্ঠান। বর আসার কথা ছিল হাতি চড়ে। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান পরিবারের সঙ্গে শত্রুতা থাকায় পুলিশ দিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দিয়েছে।

যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম বলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার ফোনের মাধ্যমে জানতে পারলাম এলাকায় বাল্য বিয়ে হচ্ছে। আমাদের দাওয়াত দিক আর না দিক, বাল্য বিয়ে কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়া তাদের সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই।

কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে কাউকে না পেয়ে বিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দিয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ…