আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুযোগ পেলেই ত্বকের ওপর বসে হুল ফুটিয়ে রক্ত পান শুরু করে দেয় মশা। তারপর রক্ত পান শেষে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। কখনও ভেবে দেখেছেন, মশা কেন রক্ত পান করে? এই প্রশ্নের জবাব বিজ্ঞানীদের কাছেও এতদিন ছিল না। বলা হত, এটা মশাদের স্বভাব। কিন্তু কেন এমন স্বভাব হলো, কবে থেকে মশার এমন স্বভাব? এসব প্রশ্নের উত্তর ছিল না। এবার নিউ জার্সির প্রিস্টন ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন।
সাধারণত স্ত্রী মশা রক্ত পান করে। পুরুষ মশা রক্ত পান করে না। এটা আমাদের সবারই জানা। সারা দুনিয়ায় কয়েক হাজার প্রজাতির মশা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি আফ্রিকার ‘এডিস এজেপ্টি’। এই মশারও আবার কয়েকটা প্রজাতি রয়েছে। এডিস এজেপ্টি জিকা ভাইরাসের বাহক। ডেঙ্গু, ইয়েলো ফিভারও ছড়ায় এই মশা।
এই এডিস এজেপ্টি মশার ওপর গবেষণা চালিয়েছেন প্রিস্টন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, সবরকম প্রজাতির মশা রক্ত পান করে না। বহু প্রজাতির মশার খাদ্যাভাস আলাদা।
প্রিস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষক নোয়া রোজ জানিয়েছেন, এর আগে কেউ মশাদের খাবার ও পানের অভ্যাস নিয়ে গবেষণা করেনি, তারাই প্রথম।
নোয়া জানিয়েছেন, সাধারণত যে সব জায়গায় গরম বেশি সেখানকার মশা রক্ত পান করে। কারণ প্রজননের সময় মশার আদ্রতার প্রয়োজন হয়। পানির অভাবে মশার প্রজননে সমস্যা হয়। পানির অভাবেই মশার রক্ত পান করার অভ্যাস তৈরি হয়েছে। আর মশার এই অভ্যাস তৈরি হয়েছে আজ থেকে হাজার বছর আগে। মশা তার শরীরে পানির অভাব পূরণ করতেই মানুষ বা অন্য প্রাণীদের রক্ত পান করে।