নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের ভানুগাছ চৌমুহনীর ৭নং ওয়ার্ডের মরহুম মুক্তার মিয়ার ছোট ছেলে সুজেল আহমেদ (২২) গত- ৪ আগষ্ট বিকেল ৩টায় মোটর সাইকেল এর পেচনে বসে মির্জাপুর যাবার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালু বুঝাই ট্রাক এর সাথে ধাক্কা লেগে সাইকেল থেকে সুজেল ট্রাকের নিচে পড়ে যায়। অনেক পথ গাড়িটি তাকে টেনে হিছড়ে নিয়ে যায়। কিন্তু মোটর সাইকেল চালকের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। গাড়ি থামিয়ে সেখান থেকে আহত সুজেলকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল রোডস্থ একটি হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর তার অবস্থা আশংকা জনক হলে তাকে সিলেট সদর এম.এ.জি ওসমানী মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অনেক টেস্ট আর ডাক্তারদের কথা থেকে জানাযায় যে, পিচ ঢালা রাস্তায় গাড়ি যখন তাকে টেনে হিছড়ে নিয়ে যায়, তখন তার উরুর মাংস, হাটুর নিচের মাংস হাঁড় পর্যন্ত ছিলে উঠে যায়। কোমরে দুপাশের হাড়ের জয়েন্ট দুটিই খুলে যায়। মেরুদন্ডের নীচের হাড় সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়।
এমতাবস্থায় তার ডানপাশের কিডনী কার্যক্ষমতা হারায়, লীভার প্রায় নস্ট, কোমরের নীচ থেকে পা পর্যন্ত কোন অনুভূতি সে পাচ্ছে না। প্র¯্রাব এর সাথে রক্ত যাচ্ছে। সমস্ত শরীর রক্ত শূন্য হওয়ায় তার শরীরে ৩ বেগ রক্ত দেয়া হয়েছে।
গত ১৯ আগষ্ট তার মুখে হালকা খাবার দেয়া হয়। বর্তমানে তাকে পায়ের হাড়ে রড ডুকিয়ে ইট ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হাড়ের ব্যথা আর প্র¯্রাব না হওয়ায় পেট ফুলে অসহ্য যন্ত্রণায় সে যখন আত্মচিৎকার করে তখন হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে, আশপাশের রোগীরাও নিজের রোগের কথা ভূলে যায়, সুজেলের মায়ের কান্না আর চোঁখের জল দেখে।
সরকারী হাসপাতালের অবহেলা সঠিক মানুষের জন্যে যেমন ব্যবস্থাপনার অভাব তেমনি আর্থিক অসচ্ছলতা যেন মায়ের ভালোবাসা কে তুচ্ছ করে রেখেছে দিনে দিনে। টগবগে এই তরুন যেন তার স্বপ্ন আর বেঁচে থাকার যুদ্ধের লড়াইএ জয়ী হয়।
আসুন আমরা সবাই মিলে পিতৃহীন সুজেলের জন্য সৃষ্টি কর্তার নিকট দোয়া করি, দু’পায়ে ভর করে যেন সুজেল আবার মায়ের কাছে আসতে পারে, যেতে পারে তার কর্মস্থলে।
যদি কারো ইচ্ছা হয় তার সাথে কথা বলার- ০১৭৯৩-৬৩৬৫২৫ এই নাম্বারে কথা বলতে পারেন।