ধলাই ডেস্ক: যশোরের চৌগাছার ট্রাকচালক আহাদ আলী হত্যার রহস্য ১২ ঘণ্টায় উদঘাটন করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের স্ত্রী ও ছেলে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহত আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলে হারুন অর রশিদ ওরফে সোহান। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই আবেদ আলী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দুর্গাবরকাঠি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ট্রাকচালক আহাদ আলীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, আহাদ আলী ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ৪-৫ মাস আগে তার মূত্রথলিতে অপারেশন হয়। সেই থেকে তিনি কোনো কাজ করতে পারতেন না। তার চিকিৎসায় সহায়-সম্বল সব বিক্রি করে দিয়েছে পরিবার। এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো আহাদ আলীর। কয়েকদিন আগে জমি বিক্রি করে একটি ট্রাক কেনার উদ্যোগ নেন আহাদ আলী। এতে বাধা দেয় স্ত্রী জেসমিন ও ছেলে সোহান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরেই বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহান। পরিকল্পনা অনুযায়ী মায়ের সহযোগিতায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে বাঁশের সঙ্গে ছুরি বেঁধে ঘরের জানালা দিয়ে আহাদ আলীর গলায় ও বুকে আঘাত করে ছেলে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দিকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে আহাদ আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষন শেষে সন্দেহবশত নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে হারুন-অর-রশিদ ওরফে সোহান হত্যার দায় স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যেরই ঘরের পাশে বালুর স্তুপের নিচে পুঁতে রাখা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বাঁশ, দড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মামলা করেছেন।