ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা ও ইকো-ট্যুরিস্টদের ঢল সামাল দিতে সর্বোচ্চ সর্তকতা ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে বন বিভাগ।
রোববার (২ মে) বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ইকো-ট্যুরিস্টদের ঢল সামাল দিতে, পেশাদার চোরা শিকারী ও মৌসুমী শিকারী প্রবেশ- বন্যপ্রাণী পাচার রোধে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বনের সব কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ঈদের ছুটি সীমিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বনের অভ্যন্তরে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করা হয়েছে।
‘১৮৭৫ সাল থেকে সংরক্ষিত’ সুন্দরবনের আয়তন হচ্ছে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) সংরক্ষিত সুন্দরবন প্রাণ-প্রকৃতির আধার। বাংলাদেশের সমগ্র বনাঞ্চলের অর্ধেকের বেশি হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবনে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা ও মায়াবী হরিণ, কিং-কোবরা, বানর, গুইসাপসহ প্রায় ১০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও সরিসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচরসহ ৩২০ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস। সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, ধুন্দল, গোলপাতাসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এ বনে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে রয়েছে বিশ্বের বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, লবণ পানির কুমির, রূপালী ইলিশ, চিংড়ী, রুপচাঁদা, কোরালসহ ৪০০ প্রজাতির মাছ।