ধলাই ডেস্ক: সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলায় ৪৭ হাজার ৩৮ জন শিক্ষার্থী এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে ৩৮হাজার ২৫০জন পাস করেছে। ফলাফলে ৮৭ দশমিক ৬৩ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬৭ জন। সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫পেয়েছে ৪৮৬টি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা। সবচেয়ে কম জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১টি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা।
জেলায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে ধর্মপাশা উপজেলা। এ উপজেলায় পাসের হার ৯৬.৮৪ শতাংশ। ফলাফলে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় পাসের হার মাত্র ৬১.৮৬ শতাংশ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়,ধর্মপাশা উপজেলায় ৩ হাজার ৬৪৪ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৫২৯জন। পাসের হার ৯৬.৮৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৬জন।
তাহিরপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৪১ জন এর মধ্যে পাশ করেছে ৩ হাজার ১৮৬ জন। পাসের হার ৮৭.৫০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৪জন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৪ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২ হাজার ১১ জন। পাসের হার ৭১.৮২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২জন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬হাজার ২৩৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫হাজার ৯৬৪ জন। এ উপজেলায় পাসের হার ৯৫.৬৭ শতাংশ।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৫৫৩ জন। পাশের হার ৮৪.৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪ জন।
ছাতক উপজেলায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮ হাজার ৩৫ জন, পাস করেছে ৬ হাজার ৬৮৩ জন। পাসের হার ৮৮. ৫৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৬৯।
জামালগঞ্জে ২ হাজার ৪২১ জনের মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ২৪৯জন। পাসের হার ৯২.৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০১ জন।
শাল্লায় ১ হাজার ৫৫৪ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১হাজার ৩২৮জন। পাসের হার ৯১.৩৩ শতাংশ। জিপি-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।
দিরাই উপজেলায় ৪হাজার ২৮৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৮৮৭জন। পাসের হার ৯০.৭১। জিপিএ৫ পেয়েছে ১৩১জন।
জগন্নাথপুর উপজেলায় ৪হাজার ১৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩হাজার ৭৫৯। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯জন।
সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় ৩হাজার ৩৯৬জনের মধ্যে পাশ করেছে ২হাজার ১০১ জন। পাসের হার ৬১ দশমিক ৮৬। জিপিএ-৫ ও সবচেয়ে কম মাত্র ৩১জন পেয়েছে
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ফলাফল মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে আরো ভালো করতে হবে। আগামীতে কিভাবে আরো ভালো ফলাফল করা যায় এই চেষ্টা থাকবে আমাদের।