ডেস্ক রিপোর্ট: ৩০টি রোজা পূর্ণ করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাঙ্গিলা হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদরাসার সাত শিক্ষক ও ২৫০ জন ছাত্রসহ ২৪৫টি পরিবারের ১২ শতাধিক নারী-পুরুষ বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন করেছেন।
এর মধ্যে উপজেলার বাঙ্গিলা হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদরাসার সাত শিক্ষক ও ২৫০ জন ছাত্র রয়েছেন। তারা সবাই হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল কাদেরের অনুসারী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় হামিউস সুন্নাহ কওমি মাদরাসা প্রাঙ্গণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামাতে ২০টি গ্রামের শত শত মানুষ অংশ নেন। মাওলানা আব্দুল কাদেরের মেয়ের জামাতা মাওলানা মুফতি মো. হাবিবুল্লাহ ঈদের জামাতের ইমামতি করেন। নামাজের আগে ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন মুফতি মো. হাবিবুল্লাহ। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন, হাদিসে বর্ণিত আছে চাঁদ দেখে রোজা রাখা ও চাঁদ দেখে ঈদ করতে হবে। কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির প্রথমে ঘোষণা কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে সঠিক ছিল। পরবর্তীতে রাত ১১টায় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে সঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, শরিয়া মোতাবেক চাঁদ দেখতে হবে। সাক্ষীও থাকতে হবে। স্বচক্ষে কেউ চাঁদ দেখেছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই কোরআন ও সুন্নাহ বিশ্বাস করে মাদরাসার সাত শিক্ষক ও ২৫০ জন ছাত্রসহ আশপাশের ধুরিয়াইল, ধানডোবা, নন্দনপট্টি, চাঁদশী, বড়কসবা, চেংগুটিয়াসহ ২০টি গ্রামের কোরআন ও সুন্নাহ বিশ্বাসী ২৪৫টি পরিবারের ১২০০-এর বেশি মানুষ বুধবার ভোররাতে সাহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন। ৩০টি রোজা পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদ উৎসব পালন করেছি আমরা।
মাওলানা আব্দুল কাদের আরও বলেন, হাদিসে যেভাবে ঈদের দিন নির্ধারণের কথা উল্লেখ রয়েছে আমরা সেভাবেই ঈদের দিন নির্ধারণ করেছি। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন করেছি।
এদিকে, ঈদের নামাজ শেষে ২০ গ্রামের পরিবার মেতে উঠেছেন ঈদ আনন্দে। একে-অন্যের বাড়িতে যাচ্ছেন। মিষ্টি মুখ করছেন। পরিবারগুলোর মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।