আজ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস, ভয় নয়-সত্য জানুন

প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২

ধলাই ডেস্ক: জলাতঙ্ক হলো প্রাণিবাহিত র‌্যাবিস ভাইরাসঘটিত একটি রোগ। রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। বাংলাদেশেও বছরে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন জলাতঙ্কে।

এছাড়াও, প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার গবাদিপশু জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়। রোগটি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতেই গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর র‌্যাবিস কন্ট্রোলের উদ্যোগে প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক: ভয় নয়-সত্য জানুন’।

কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বাদুড়, বেজি, বানর ইত্যাদি প্রাণী জলাতঙ্ক সৃষ্টিকারী ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এবং আক্রান্ত প্রাণীটি সুস্থ মানুষ বা গবাদিপশুকে কামড়ালে ঐ মানুষ অথবা গবাদিপশুও  জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

সাধারণত আক্রান্ত প্রাণী সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ানোর দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। তবে এ সময়সীমা এক সপ্তাহ থেকে এক বছর পর্যন্তও হতে পারে।

সাধারণত জলাতঙ্কে আক্রান্ত ব্যক্তি এক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান। কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে না। তবে জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা রয়েছে, যা রোগের লক্ষণ প্রকাশের আগে শরীরে প্রয়োগ করতে পারলে আক্রান্ত ব্যক্তি বেঁচে যেতে পারেন।

২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১২টি দেশে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করা হয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিজ্ঞানী লুই পাস্তর ২৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ মহান বিজ্ঞানী মৃত্যুর আগে জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন। তার এ অবদানকে বিশ্বের বুকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে এবং জলাতঙ্ক রোগের ভয়াবহতা অনুধাবন করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও ২০০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করে আসছে।

দিবসকে সামনে রেখে সরকার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংগঠন, বিশেষত প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, মুক্ত আলোচনা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।